সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭

অসুখলতার ফুল

অদৃশ্য দাবাড়ুরা বসে চালে,
ঘোড়া হাতি রাজা মন্ত্রী নৌকা আর বোড়ে।
বোড়েকে কারা যেন বলে সৈনিক!
কিসব তুচ্ছ গালভরা নাম বলতো?
এক দুজন মন্ত্রী হয়, বাকিরা পরাজিত।

অবাক এক ধরনের ক্লান্তি আছে বলে,
এইসব পার্ক, অলিগলি আর ময়লা রাস্তা
পার হতে হতে হেসে ফেলি অযথাই।
মানুষগুলো মনে হয় সাদাকালো প্ল্যাকার্ড,
সবার গায়ে দুঃখের অদৃশ্য আঁকিবুকি।

আমি আর আমরা যারা সময় গুড়ো করে,
একটু একটু করে গিলে ফেলি তাদের জন্য
একফালি চাঁদ তারার শরীর ছুঁয়ে দেয় ভুলে,
আর আধারের গা ভরে উঠে অসুখলতার ফুলে।


বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭

জলজ

অম্বুজ বাতাসে পানকৌড়ির মতো
হৃদয়, উড়ে যায় আঁশটে আকাশে।
জলের নীচে ঈশ্বর ছুড়ে মারেন,
অফুরান কষ্টের সসিক্ত মুক্তো
ভেসে ওঠে নীল জীবনের ঘ্রাণ।

এইসব বেঁচে থাকার বোধ
নষ্ট জীবনে বারবার আসে।
বুকের গভীর শীতল অতলে;
মৃত আবেগের তুচ্ছ বুদবুদ,
রক্তজবার মতো জাগে।

ডুবন্ত কথাগুলো টুপটাপ ঝরে,
শিশিরের সুর বেজে ওঠে রাতে
দূরত্বের অমাবস্যা গাঢ় হয়, আর,
শরীরে ঘন হয়ে আসে, অন্ধকার।