বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

কুয়াশার কিশোরী

কুয়াশা নামা পৌষের রাতে আমার কষ্টগুলো,
কি করে যেন, একরাশ ভেজা শিউলি হয়ে ওঠে।
আর একান্ত আধারে, নির্বেদ ঘুমের অনুতাপে,
 ঝরে যায়, আমাদের ভুল ভালোবাসার মতো।

যে কিশোরী তার কোমল তালুতে তুলেছিলো,
সেসব বিচ্ছিন্ন ফুলেল দু:খ, তাকে কেবল মনে পড়ে।
মিহি মেঘের সাদা চাদর গায়ে সে কাঁপছিলো শীতে
পাজরে তার শুভ্র হিম নামছিলো ফেননিভ আদরে।

মায়াবীর সে দেশে ছাই রং ভোরে রাত ঘুম স্বপ্ন হয়।
কিশোরী ফুল কুড়োয়,আকাশ সাদা হবার অপেক্ষায়,
কিন্তু অপেক্ষা ফুরোবে না, এ রাত তো শেষ হবার নয়।
এ দেশে অনন্ত রাত্রির অভিশাপ জলের শব্দে ঘুমোয়।

শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

হারানো বিজ্ঞপ্তি

অপলা বলেছিলো দশ আঙুলে রং মেখে,
এলোচুলে ফিরবো, তোমার সাদাকালো দেশে।
আমার রং গুলো অভিমান করে রইলো সারাদুপুর
রোদেরাও অপেক্ষায়, তার আর ফেরার নাম নেই।

একটা নীল স্বপ্নের ট্রেনে সে ফিরবে বলে,
অন্ধ অজগরের মতো ট্রেনেরা ওকে খুঁজেছে।
প্রতি জানলায় কাতর, অসহায় সব বিজ্ঞপ্তি।
অথচ ফেরার কথাটা বলে ও হারিয়ে গেলো।

সময়কে খুন করে তাই, কাঁটায় ভেজাই রক্তজবা
টিক টিক শব্দের ঘূর্ণিতে, মুহূর্তের সোল্লাস আত্মহত্যা,
শুধু তুমি নেই বলে এ দেশে প্রণয় বে-আইনী আবার।
প্রতিটি কবিতা এখন একান্ত ব্যক্তিগত নিষিদ্ধ ইশতেহার।