বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৮

ঈশ্বরের বাসস্থান

তার জন্ম হোলো অন্ধকারের যোনি ছিড়ে
তিনি কেঁদে উঠলেন, সবাক হোলো বাতাস।
অন্ধকারের শরীর তাকে ঘিরে শীতল তখনো
তিনিই তৈরি করলেন আলো আর আকাশ।

এক এক চিৎকারে বয়ে গেলো তারার স্রোত,
তিনি তখনো কাঁদছেন, কোথাও কেউ নেই।
শেষমেষ নামহীন নক্ষত্রে অম্বুজ জন্ম শেষে,
এক সালংকারা সসাগরা করলেন পৃথিবীকে।
সে কুমারী তাকে নরম বুকে রাখলেন জলজ ওমে।

বাতাসে রেশম চুল উড়লো, তিনি হাসলেন।
জন্ম হলো গান, তিনি আনন্দে মাথা দোলালেন,
নেচে উঠলো আসমুদ্রহিমাচল জীব আর জড়।

যেখানে জন্মে সমস্ত স্থলজ কাম ও ক্রোধ,
হিংসা আর সংগমে ক্লান্ত বিধ্বস্ত অতীত,
বিষাদে বিষণ্ণ মাটির সর্বংসহা আশ্রয়
সেখানে ঈশ্বর জন্মাননি কোনদিন।
তিনি বারবার জন্মান আত্মার গভীরে
তিনি থাকেন বিশাল সমুদ্রের অতলে,
দুঃখী আকাশ আর করুণ প্রেমিকের হৃদয়ে।