শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৫

প্যালিওলিথিক স্বপ্ন

 খানিকটা আকাশ অন্ধগলির চোখে চুপ,
গনিকার আদরের মতো পবিত্র এ সকালে।
পীচরাস্তার ছটফটানিতে, ইচ্ছে হয়  
 আবার প্যালিওলিথিক যুগে ফিরে যাই।

এ শহরে অরণ্য নেমে আসুক,  
প্রতি পদক্ষেপে জন্ম নিক, হিংস্র সব শ্বাপদ।
অন্তরে ঘিরে সবুজাভ আধারীর ভয়
আর অনিশ্চিত প্রশ্বাস থাকুক, আমাদের বুকে।

আর একবার ফিরে যাই, আমরা ভয়ের কাছে,
যে ভয় আমাদের আচ্ছাদন, আমাদের আশ্রয়।
মরে যাবার ভয় নেই বলে, বাঁচতে শিখি নি
ছোটার তাড়া না থাকায়, কেবলই ভুল পথ
গোড়ালির নিচে জমে যায় আর থামে।

পরস্ত্রীর গন্ধের মতো আগুন লাগা সন্ধ্যা,
রক্তাভ হয়ে কার্তিকের নীলে গিয়ে মেশে।
রং, আমাদের অবাক না করে আর,
নিয়ন আলো জ্বালিয়ে দু'চোখে
কবোষ্ণ মাংসপিণ্ড মাপতে বসি আবার।  

এ নিষিদ্ধ শহরে কবরের মাছিরা ওড়ে,
লালাভ রক্ত গালে মেখে পরীরা নেমে আসে
কোমল আধারে। আমরা সে পরীর ডানা ছুয়ে
পবিত্র হবার পরেও নষ্ট হতে ভয় পাই।

রাত্রির সাথে প্রণয়কলহ  তুমুল হলে,
আকাশে জাগে কৃষ্ণা অষ্টমীর ভীত চাদ।
আমরা আধো ঘুমে মানুষীর স্বপ্ন দেখি,
কবিতার মত নষ্ট সব স্বপ্ন, গদ্যের অক্ষরে।

স্বপ্ন আমাদের টানে, কাঁটার উজানস্রোতে
করুনায় আদ্র সব গোলকে আমরা ডুবে যাই
আমরা তীব্র হই ভাদ্রের লুব্ধকের মত মেতে।

আমাদের আক্রান্ত শরীরের চক্রান্ত ঘুমুলে,
আমরা স্বপ্ন ভেঙ্গে সভ্য হই, দুপুরে সকালে
ঈশ্বরের পৃথিবীতে ডুবন্ত আলোড়ন তুলে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন