সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০১৫

একটা গল্পের গল্প



গল্পটার তখনো অনেকটা বাকি,
আমরা দুজন চুপচাপ, মুখোমুখি,
ফ্রিজ শটে স্থির।
 ইতস্তত হেলে যাওয়া জানালা
উড়ে যাচ্ছিল, কাকের ডানায়,
উল্টো কাছিমের বালুকাবেলায়।

শুরুটা হলো ছোটগল্পের মতোন,
অবাস্তব সব উপমার ছড়াছড়ি।
আমি মন দিচ্ছি তোমায়,
তুমি উপমায়।

একের পর এক শব্দ কুড়িয়ে
আমাদের গল্প এগোয়।
কথাগুলো ধোঁয়াশার মতো
আস্তে আস্তে জমে উঠে কুয়াশায়।

আনমনে তুষারপাত  কিছুতেই হয় না।
এ দেশে এখনো বৃষ্টি, কালো মেঘ,
সাদা আলোর আচমকা ঝলক,
অন্ধ জাহাজীর অনন্ত অপেক্ষা।

আমাদের স্বপ্নে একটাই তুষারঝড়।
সে জন্য আমরা অপেক্ষা করি
গোটা একটা জীবন।

গল্পের মধ্যমায় পৌঁছে আমরা টের পাই
এখন,অশীল অন্যমনস্কতা আমাদের
এক করে রাখে।
মৃতবৎ সংলাপ সব ঘিরে ধরে বাহুপাশ,
আমরা নির্বাক হই।

গল্প শেষ করার ইচ্ছে আর হয় না।
আমরা ক্রমাগত বাসি হয়ে যাই।
আমাদের শব্দে ভাসে
মাংসপচা গন্ধ।

অথচ  তোমার শব্দগুলো, অজস্র তারা ছিলো
যাদের পথক্লান্ত আলো, মাত্র এলো।
গ্রহ আর গ্রহান্তরের অগ্রন্থিত কাব্য ছিলো
যাদের দূরত্ব, সমস্ত কবিতার ছন্দ
অথচ আমাদের ছিলো অবাক ধুমকেতু প্রেম,
যে বারবার ফিরে আসে
প্রথম কিশোরীর মুখের মতোন।

শেষমেষ আমরাই নষ্ট করে দিলাম সব
আমাদের চারপাশে অগুনতি অনূভুতির শব।
এখন আমাদের অনেক নষ্ট দিয়ে,
অকালমৃত পুতুলের বিয়ে।

অবান্তর কিছু  আওয়াজ
ঘিরে থাকে চারপাশ।

রক্তের রঙ ফিকে হয়ে গেলে
যে প্রদোষে ফুটেছে কদম,
তার মতো মরে যেতে যেতে
আমরা ভালোবাসি। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন